-
Bogla Guti Mango
বোগলা গুটি জুন মাসের মাঝামাঝি পাকা শুরু হয়। তবে স্বাদে-গন্ধে খিরসাপাত (হিমসাগর) এবং বোগলা গুটি, এই দুটি আমের পার্থক্য করা মুশকিল। ত্বক সমান, খোসা পাতলা। খিরসাপাতের শাসের রং হলুদাভ কিন্তু বোগলা গুটি শাসের রং কমলা। শাস মোলায়েম এবং অত্যন্ত রসালো।
৳ 80 – ৳ 100Bogla Guti Mango
৳ 80 – ৳ 100 -
Mango: Boro Guti আমঃ বড় গুটি
এই আমগুলো টক-মিষ্টি সবরকমই হয়,কিন্তু কানসার্ট (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) গুটি আম মিষ্টি হয়। আমের বীজ বা আটি গুলো একটু বড় হয় ।
৳ 85 – ৳ 95Mango: Boro Guti আমঃ বড় গুটি
৳ 85 – ৳ 95 -
Mango: Bari 4 আমঃ বারি ৪
এটি একটি উচ্চ ফলনশীল, মিষ্টি স্বাদের নাব জাত। ফজলী আম শেষ হওয়ার পর এবং আশ্বিনা আমের সাথে এ জাতের আম পাকে। এ জাতের আম কাঁচা অবস্থাতেও খেতে মিষ্টি।
৳ 95 – ৳ 115Mango: Bari 4 আমঃ বারি ৪
৳ 95 – ৳ 115 -
Mango: Fazli আমঃ ফজলি
ফজলি আমকে আমের রাজা বলা হয়। অনেকে বলে ফজলি আম কিছুটা টক, কিন্তু কানসার্টের ফজলি আমের মিষ্টি, স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়। কাঁচা অবস্থায় ফজলি আম টক-মিষ্টি হওয়ায়, অনেকে লবণ -মরিচ দিয়ে মজা করে মাখিয়ে খায়।। খোসা কিছুটা মোটা, আঁঠি পাতলা, কম আঁশযুক্ত। এ ফলটি আকারে বড়, দীর্ঘ ও কিছুটা চ্যাপ্টা। পাকলে ত্বক সবুজ থেকে কিছুটা হলুদ বর্ণ ধারন করে। শাঁস হলুদ, আঁশবিহীন,অত্যন্ত রসাল এবং সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু ও মিষ্টি।
৳ 95 – ৳ 105Mango: Fazli আমঃ ফজলি
৳ 95 – ৳ 105 -
-
Mango: Amrapali আমঃ আম্রপালি
আম্রপালি দেখতে লম্বাটে, নিম্নাংশ অনেকটা বাঁকানো৷ পোক্ত অবস্থায় ত্বকের রং সবুজ, পাকলে ঈষৎ হলুদ রং ধারণ করে৷ ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা৷ খোসার রং কমলা, অত্যন্ত রসাল, সুস্বাদু এবং সুগন্ধযুক্ত আমটিতে কোনো আঁশ নেই৷
৳ 95 – ৳ 115Mango: Amrapali আমঃ আম্রপালি
৳ 95 – ৳ 115 -
Mango: Lokkhon Vog আমঃ লক্ষণভোগ (লখনা)
লক্ষণভোগ (লখনা) আমঃ
লক্ষনভোগ আম লখনা নামেই বেশি পরিচিত। মিষ্টিতা কম থাকায় এই আমকে কিছু মানুষ ডায়বেটিক্স আম বলে থাকে। লক্ষণভোগ আমের আঁশ খুবই কম। এর রং খুব সুন্দর ও গন্ধ অসাধারন। খোসা কিছুটা মোটা হলেও আটি পাতলা।৳ 54 – ৳ 64Mango: Lokkhon Vog আমঃ লক্ষণভোগ (লখনা)
৳ 54 – ৳ 64 -
হিমসাগর আম
আগামী মৌসুমে রসালো মিষ্টি হিমসাগর আম খেতে নিশ্চয়ই আপনি উত্তেজিত হয়ে আছেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন আম সবচেয়ে ভালো তা নিয়ে আমপ্রেমীরা মারামারি করছেন। কার পছন্দের আম হবে সেরা! হিমসাগর নাকি ল্যাংড়া? প্রিয় আমের সব অজানা তথ্য জানতে আমরা না হয় লড়াই ছেড়ে নেমে পড়ি কি বলেন?
হিমসাগর বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি আম। এই আম এমনি এমনিই তো আর GI মর্যাদা পায়নি! তাই এর সম্পর্কে জানার আগ্রহটাও তেমন ভাবে বেড়ে যায়। অনন্য বৈশিষ্টের হিমসাগর আম , আমের গাছ চেনার কৌশল, হিমসাগর আমের বদলে অন্য আম কেনা থেকে কিভাবে বাঁচবেন,
এসবই জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।হিমসাগর আম স্বাদে ও গন্ধে অনন্য বাংলার আম:
হিমসাগর আম স্বাদে ও সুবাসে এক কথায় অনন্য। সারাবছর সবাই যেন উদগ্রীব হয়ে থাকে এর মিষ্টি স্বাদ নিতে। অনেকের কাছে স্বাদ ও গন্ধে ল্যাংড়া কিংবা আম্রপালি থেকেও এগিয়ে আছে এই বাংলার হিমসাগর আম।
আমরা কতটুকুই আর জানি এই যে এতো জনপ্রিয় একটা আম এর সম্পর্কে ? আসুন আজ জেনে নিই অজানা সব তথ্য এই আমের বিষয়ে ।
হিমসাগর আমের গাছ কেমন হয় ?
হিমসাগর একটি অতি উৎকৃষ্ট মানের জাত আকৃতি, ফলন ও উৎপাদনের দিক দিয়ে। সাধারণত একে আশুজাতের আম হিসেবেই ধরা হয়। তবে এই আম মধ্য মৌসুম পর্যন্ত বাজারে আসতে থাকে। অতি জনপ্রিয় এই ফলের গাছটি কেমন হয় জানেন কি?
আকৃতিঃমোটামুটি মাঝারি আকারের হয় এই জাতের আম গাছ।
পাতাঃ হিমসাগর আমের গাছের পাতা ছোট ছোট আর চিকন ধরনের হয়।
জাতঃ হিমসাগর গাছ কিছুটা ঝাঁকড়া প্রকৃতির হয় এবং এর পাতা অনেক ঘন হয় ।
ফলনের বয়সঃ সাধারণত গাছের বয়স ৪-৫ বছরের বেশি না হলে তাতে আম ফলে না। তাই এই গাছের ফলনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়।
ফলনঃ বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছের তুলনায় এই গাছের গড় ফলন কিছুটা কম।আবার গাছের বয়স অনুযায়ী ও আমের ফলনের এবং স্বাদের পার্থক্য হয়।
যেমনঃ অনেক বেশি বয়সী গাছের আম আকৃতিতে ছোট কিন্তু বেশি মিষ্টি হয়। অপরদিকে কম বয়সী আম গাছের আম আকৃতিতে বড় কিন্তু কম মিষ্টি হয়।এবার আসুন হিমসাগর আম সম্পর্কে কিছু জানি।
হিমসাগর জাতের আমের যত জানা-অজানা বৈশিষ্ট্যঃ
উৎপত্তিঃভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
আকৃতি :মাঝারি।
লম্বাঃএই আম ৮.৩৯ সে.মি পর্যন্ত লম্বা হয়।
গড় ওজনঃ২৫০-৩৫০ গ্রাম
শাঁসঃপুরো আমের আঁটি হয় ৩৩% আর ৭৭% শাঁস থাকে ।
উৎপাদন স্থানঃ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা এবং ভারতের মালদা, মূর্শিদাবাদ, নদীয়া, হুগলি ও হিমসাগর চাষের জন্য বিখ্যাত।
প্রাপ্তিকালঃ মে মাসের শেষের সপ্তাহ থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত।
ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যঃ হিমসাগর বাংলাদেশের তৃতীয় পণ্য হিসেবে GI রেজিস্ট্রেশনের মর্যাদা পায়, ১১২ নাম্বার GI সিরিয়াল নিয়ে ।
টিএসএস মানঃ ফলের টিএসএস মান তার মিষ্টতার পরিমাণ নির্দেশ করে। ২২.৮৪% টিএসএস মান দেখলেই বোঝা যায় মিষ্টতার দিক দিয়ে হিমসাগর কতটা এগিয়ে।
সংরক্ষণঃ পাকা হিমসাগর আম সর্বোচ্চ ৮ দিন পর্যন্ত বাসায় সংরক্ষণ করা যায়, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে ।
কিভাবে হিমসাগর আম চিনবেন?
প্রত্যেকটি আমেরই যেমন বাহ্যিক রূপ আলাদা তেমনই তাদের স্বাদ আলাদা । আম চিনে নেওয়ার জন্যে এর কিছু কিছু বৈশিষ্ট দেখলেই বুঝা যায় । তেমন কিছু শনাক্তকারী লক্ষণ হিমসাগর আমের আপনাদের আজ বলে যাব।
গঠনঃহিমসাগর আমের আকার মাঝারি আকারের হয়। এর উপরের দিকটা কিছুটা গোলাকার আর নিচের ভাগ খানিকটা অবতল হয়। আর সাইনাসের পর থেকে সামান্য লম্বা আকৃতি ধারণ করে আগাটা আবার গোল হয়।
বাহিরের রংঃ আমটি বাহিরের দিকে সাধারণত সবুজ হয়, তবে মাঝে মাঝে হালকা হলুদ দেখায়। পাকলে ও হালকা সবুজ থাকে। ।
ভিতরের রংঃ পাকা আমের ভিতরটা হলুদ ও কমলা রঙের মিশ্রণে একটা লালচে আভা তৈরি করে।
বোঁটাঃ আমের বোঁটা অনেক শক্ত হওয়াতে ঝড়-বৃষ্টিতে ফলনের তেমন ক্ষতি হয় না।
খোসাঃ এই আমের ত্বক বেশ মসৃণ আর খোসা অনেক পাতলা হয়।
শাঁসঃ হিমসাগরের আঁশ নেই বললেই চলে আর শাঁস অনেক নরম হয় । তাই ছোট-বড় সবাই খুব আরাম করে এই আম খেতে পারে।
ক্ষীরশাপাতি নাকি হিমসাগর?
রাজশাহী বিভাগের দুই নামকরা আম হিমসাগর আর ক্ষীরশাপাতি/ ক্ষীরশাপাত। আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে এদের আলাদা করা কঠিন প্রায় কাছাকাছি প্রজাতির আম বলে। তাইতো অনেক ব্যবসায়ী আমাদের হিমসাগর নামে ক্ষীরশাপাতি আম ধরিয়ে দেয়।
তবে এদের আলাদা করে চিনতে পারি আমরা একটু খেয়াল করলেই ।
ক্ষীরশাপাতিঃ কোনটি হিমসাগর আর কোনটি ক্ষীরশাপাতি তা পাকা আমের রঙ দেখেই বলে দেওয়া যায় । পাকলে ক্ষীরশাপাতি আমের উপরের অংশ হলুদ হয়ে যায়।
হিমসাগরঃ আর হিমসাগর পাকলে সবুজাভ হালকা হলদে রঙের দেখায়।
দেশব্যাপী চাহিদা ও উৎপাদন হিমসাগর আমের:
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় আম এই হিমসাগর । এর সুনাম মানুষের মুখে মুখে এর সুনাম। একারণেই এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সারা দেশে। চাহিদা ও যোগানের অসমতা চোখে পড়ার মতই, সেই তুলনায় উৎপাদন কম বলে ।
চাহিদাঃ হিমসাগর আমের ক্রেতা প্রায় সারা দেশেই আছে। তবে এর বাজার অনেক রমরমা কিছু কিছু জেলায় । তাদের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট অন্যতম। এছাড়াও এর অনেক কদর বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ জেলাতেও ।
উৎপাদনঃ হিমসাগর আমের উৎপাদন কিন্তু তেমন একটা হয় না আমের শহর রাজশাহীতে । চাঁপাইনবাবগঞ্জ হিমসাগরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে সারাদেশে চেনা জানা।
তবে জানেন কি?
সবচেয়ে বেশি এই আমের চাষ হয় চুয়াডাঙ্গা জেলার দোমুড়হুদা উপজেলায়। আবার অনেক হিমসাগর উৎপন্ন হয় সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, কলারোয়া, দেবহাটা ইত্যাদি উপজেলাতেও ।
আমের রাজা বলে খ্যাত হিমসাগরের নানা গুন। তাইতো এই আম খেতে কোন অজুহাত লাগে না। আমের শরবত, আমের পায়েশ, দুধ-ভাতে আম, মুড়ি দিয়ে আম।
এই আম দিয়ে আরো কত কি যে রেসিপি তৈরি হয় । কিন্তু এই আমের জুটি যেন আর সব কিছুকেই হার মানায় দুধ ভাতের সাথে ।
অপেক্ষা মাত্র আর কয়েকদিনের। এরপর গরম থেকে বাঁচতে না হয় হিমসাগর সহ অন্যান্য আমের মাঝেই আমাদের মত আপনারাও খুঁজে নিবেন স্বস্তি ।
৳ 125 – ৳ 140হিমসাগর আম
৳ 125 – ৳ 140 -
Langra Mango
বাংলাদেশে যে কয়টি অতি উৎকৃষ্ট জাতের আম রয়েছে এগুলোর মধ্যে ল্যাংড়া আম জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে। আমটি আকৃতি অনেকটা ডিম্বাকার গোলাকৃতি। পাকা অবস্থায় হালকা সবুজ থেকে হালকা হলুদ রাং ধারণ করে। কাঁচা অবস্থায় আমের গন্ধ সত্যিই পাগল করা। অত্যান্ত রসালো এই ফলটির মিষ্টতার পরিমাণ গড়ে ১৯.৭%। বোটা চিকন। আটি অত্যন্ত পাতলা।
৳ 120 – ৳ 135Langra Mango
৳ 120 – ৳ 135
Hotline: +88-01770-012-888